তিন জেলায় জামায়াতের তিন নেতা গ্রেপ্তার

কুমিল্লা, সিলেট ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে গতকাল মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর তিন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সারোয়ার মজুমদার ওরফে কামাল, কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা জামায়াতের সমন্বয়কারী জব্বার মিয়া ও জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সিলেট নগর কমিটির সভাপতি নেছার আলম (৪৫)।
পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে কুমিল্লা নগরের মনোহরপুর এলাকার আদর্শ হাসপাতালের সামনে থেকে সারোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় কমপক্ষে ছয়টি মামলা রয়েছে। ওই জামায়াত নেতাকে ১৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইনুল হক বলেন, সন্ত্রাস, দ্রুত বিচার আইন, পুলিশ ও জনতার ওপর হামলার ঘটনায় সারোয়ারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ১৪ আগস্ট জামায়াতের ডাকা হরতালের দিন সকালে কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কের কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ফয়েজগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা অতর্কিতভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। ওই ঘটনায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়েছে। উভয় মামলায় সারোয়ারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নিকলী থানা পুলিশ জানায়, জামায়াতের নেতা-কর্মীরা নাশকতার উদ্দেশে ১০ আগস্ট নিকলী উপজেলার ধোপাহাটি গ্রামে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে গোপন সভা করছিলেন। এ সময় অভিযান চালিয়ে নিকলী উপজেলা জামায়াতের
আমির ইব্রাহিম ও সদস্য বাচ্চু মিয়াকে আটক করা গেলেও জব্বারসহ অন্যরা পালিয়ে যান। গতকাল ভোরে নিকলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের খামারহাটি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে জব্বার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, পুলিশের ওপর হামলার মামলায় জব্বারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নেছার আলম সিলেট সদরের কানিশাইল এলাকার বাসিন্দা। গতকাল ভোরে পাশের এলাকা শামীমাবাদের একটি
বাসায় জামায়াতের নতুন কর্মসূচিকে সামনে রেখে নেছার ২০-২৫ জন সদস্যকে নিয়ে গোপন বৈঠক করছিলেন। পুলিশ বৈঠকস্থল ঘেরাও করে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা পালিয়ে যান।
সিলেট কোতোয়ালি থানার লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসাইন জানান, ফজরের নামাজের পর থেকে ওই বৈঠক চলছিল। বৈঠকে জামায়াত-শিবিরের নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সঙ্গে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা হচ্ছিল।
ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার: সিলেট মদনমোহন কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি কাজী মেরাজকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার রাত নয়টার দিকে নগরের বাগবাড়ি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ নাসির উদ্দিন মোহামঞ্চদ।
[প্রতিবেদন তৈরি করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট ও কুমিল্লা এবং নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি]