বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে গতকাল। এদিন পবিত্র জুমার নামাজের জামাত ইজতেমা ময়দান ছাপিয়ে আশপাশের সড়কগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে l ছবি: ফোকাস বাংলা
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে গতকাল। এদিন পবিত্র জুমার নামাজের জামাত ইজতেমা ময়দান ছাপিয়ে আশপাশের সড়কগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে l ছবি: ফোকাস বাংলা

দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব গতকাল শুক্রবার শুরু হয়েছে। বাদ ফজর ভারতের মাওলানা ইসমাইল হোসেনের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।
এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয় ৯ জানুয়ারি। ১১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম পর্ব। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে গতকাল থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
তুরাগতীরে ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইজতেমাস্থলে বিদেশি ও সাধারণ মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ, র্যা ব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আনসার সদস্যদের বলয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা-ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
জুমার নামাজে মুসল্লির ঢল: গতকাল পবিত্র জুমার নামাজে ইমামতি করেন বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের। ইজতেমার ময়দান ছাপিয়ে আশপাশের সড়কগুলোতে ছড়িয়ে পড়েন মুসল্লিরা। বিভিন্ন ভবনের ছাদ, গাড়ি ও সড়কে যে যেভাবে পারেন, মিলেমিশে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে জুমার নামাজে অংশ নেন। ইজতেমার জন্য নির্ধারিত এলাকার মুসল্লি ছাড়াও গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অনেক মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বাদ জুমা দেশের ও বিদেশের মাওলানারা বয়ান করেন। মূল বয়ান উর্দুতে হলেও বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফারসিসহ বিভিন্ন ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হয়। ইজতেমায় বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিরা আলাদা আলাদা বসেন এবং তাঁদের মধ্যে একজন করে মুরব্বি মূল বয়ানকে তাৎক্ষণিক অনুবাদ করে শোনান। বিশ্ব ইজতেমার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আম ও খাসবয়ান, তালিম, তাশকিল, ছয় উছুলের হাকিকত, দরসে কোরআন, দরসে হাদিস, চিল্লায় নাম লেখানো, নতুন জামাত তৈরি ও যৌতুকবিহীন বিয়ে।
নিরাপত্তাব্যবস্থা: গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠের চারদিকে পুলিশ, র্যা ব, আনসারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত: গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল ইসলাম জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বিশুদ্ধ খাবার নিশ্চিত করতে ইজতেমাস্থল ও আশপাশের অঞ্চলকে পাঁচ ভাগে ভাগ করে ওই সব অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব অঞ্চলে প্রতিদিন দুই পালায় ৫টি করে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসন।