তথ্য না দেওয়ায় মহেশখালীর দুই কর্মকর্তাকে তথ্য কমিশনের তলব

আবেদনকারীকে তথ্য না দেওয়ায় মহেশখালীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে তলব করেছে তথ্য কমিশন। মহেশখালীর পৌর এলাকার বাসিন্দা সাদেক উল্লাহর করা অভিযোগের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার তথ্য কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এ নির্দেশ দেন।
মহেশখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ চিরাণ ও সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক নুরুল আমিনকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তথ্য কমিশন। কমিশনের আদেশে বলা হয়, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলার আনন্দ স্কুলগুলোতে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ ও বাজেট বরাদ্দের তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন ছাদেক উল্লাহ। গত বছরের ১২ অক্টোবর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ চিরাণ ও সোনালী ব্যাংক মহেশখালী শাখা ব্যবস্থাপক নুরুল আমিনের কাছে আবেদন করেছিলেন তিনি। পরে কক্সবাজার জেলার আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছরের ৯ নভেম্বর ওই আবেদনকারী আপিল করেন। কিন্তু ওই আপিল আবেদনের জবাব না পাওয়ায় আবেদনকারী তথ্য কমিশন বরাবর দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ তথ্য কমিশন আমলে নিয়ে দুই কর্মকর্তাকে আগামী ২৬ জানুয়ারি শুনানিতে অংশগ্রহণ করার জন্য সমন জারি করেন। একই সঙ্গে কর্মকর্তারা তথ্য কমিশনে উপস্থিত না হলে, তাঁদের অনুপস্থিতিতে অভিযোগের শুনানি হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
পৌর এলাকার বাসিন্দা ছাদেক উল্লাহ বলেন, ‘উপজেলার আনন্দ স্কুলগুলোর উপবৃত্তির টাকা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই তথ্য চেয়েছি আমি। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক কোনো তথ্য দেননি। এ কারণে ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তথ্য কমিশনে একটি আবেদন করেছি।’
তথ্য কমিশনের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে মহেশখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ চিরাণ বলেন, ‘আনন্দ স্কুলের উপবৃত্তির বাজেট শিটের অনুলিপি আমার কাছে ছিল না। এ কারণে আবেদনকারীকে তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।’ তবে বক্তব্য জানার জন্য সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক নুরুল আমিনের মুঠোফেনে একাধিক বার যোগায়োগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।