আগুন দিয়ে পালানোর সময় শিবির কর্মীদের পিটুনি, দগ্ধ ৯

রাজশাহীতে যাত্রীবাহী দুটি বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে পালানোর সময় দুই শিবিরকর্মীকে ধরে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় জনতা। তাদের ছোড়া পেট্রলবোমায় নারী ও শিশুসহ নয়জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তানোর উপজেলার ব্র্যাক মোড়ে এবং পবা উপজেলার বাগধানীর তেঘর এলাকায় পৃথক দুটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের সময় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, তানোর থেকে রাজশাহীগামী ‘ইমন পরিবহন’ নামের একটি বাস সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পবার তেঘর এলাকায় পৌঁছালে শিবিরের কর্মীরা পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে। চালক সঙ্গে সঙ্গে বাসটি থামালে যাত্রীরা দ্রুত নেমে পড়েন। বোমা মেরে পালানোর সময় শিবিরের দুই কর্মীকে ধরে পিটুনি দেন স্থানীয় জনতা। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হন। তাদের মধ্যে থেকে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, বোমা মেরে পালানোর সময় মশিউর রহমান (২৩) ও আবদুল আওয়াল (২০) নামের শিবিরের দুই কর্মীকে স্থানীয় জনতা ধরে ধোলাই দিয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে শফিউরের বাড়ি পবার মহানন্দাখালী গ্রামে এবং আওয়ালের বাড়ি পবার নওহাটা স্কুলপাড়ায়।
ওসি জানান, তারা দুজনেই শিবিরের সক্রিয় কর্মী।

এদিকে পুলিশ জানায়, তানোর উপজেলা সদর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তানোর-রাজশাহী সড়কের ব্র্যাক অফিসের সামনে শিবিরের কর্মীরা ‘ইয়া-রাব্বি পরিবহন’ নামের একটি বাসে পেট্রলবোমা ছোড়ে। এতে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। আগুনে নারী ও শিশুসহ নয়জন দগ্ধ হন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুসহ দুজনের অবস্থা গুরুতর।
আহতরা হলেন মকবুল হোসেন (৪৫), আনোয়ারা বেগম (৪০), নাজমা বেগম (৩৫), ফারজানা খাতুন (৫), জুলেখা বেগম (৩০), আশরাফ আলী (৩৭), আছিয়া খাতুন (৭), আয়েনউদ্দিন (৩৫)। আহত অপর একজনের নাম জানা যায়নি।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, তানোর উপজেলার ব্র্যাক অফিসের সামনে শিবিরের কর্মীরা ‘ইয়া-রাব্বি’ নামের একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। এতে বাসটিতে আগুন ধরে নারী ও শিশুসহ নয়জন দগ্ধ হন। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।