আত্মহত্যায় প্ররোচনার ঘটনা মিটিয়ে ফেলতে চাপ

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার দিনারা গ্রামে বখাটের অত্যাচার ও মানুষের ভর্ৎসনায় নাহিদা আক্তারের (১৭) আত্মহত্যা করার ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মিটমাট করার জন্য বখাটের পরিবার কিশোরীর বাবাকে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গ্রামবাসী জানায়, মঙ্গলবার রাতে একটি গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে বখাটে নাহিদ ছৈয়াল ওই মেয়েটিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। এ নিয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা মেয়েটিকে গালমন্দ করলে মেয়েটি আত্মহত্যা করে। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বখাটের অত্যাচার, মানুষের ভৎর্সনা, অতঃপর আত্মহনন’ শিরোনামে প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
নাহিদার বাবা মোকলেছ গাজী বলেন, নাহিদার মৃত্যুর পর তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে কম্পিউটারে টাইপ করা একটি কাগজে সই নেয়। এরপর তিনি মেয়ের লাশের জন্য হাসপাতালের মর্গে চলে যান। ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ নাহিদার লাশ হস্তান্তর করে। তিনি এ ঘটনায় থানায় এখনো মামলা দায়ের করেননি।
মোকলেছ গাজী আরও বলেন, ‘আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে যারা বাধ্য করেছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব। আমি দরিদ্র কৃষক, আইনকানুন বুঝি না। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে আমি সবার সহযোগিতা চাই। তবে এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিটমাট করার জন্য বখাটে নাহিদের বাবা আলী আকবর ছৈয়াল, মামা নান্নু গাজী ও বাবলু গাজী আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।’
ঘটনার পর থেকেই নাহিদ ছৈয়াল পলাতক। গতকাল শুক্রবার তাদের বাড়িতে গিয়ে আলী আকবর ছৈয়াল, নান্নু গাজী ও বাবলু গাজীকে পাওয়া যায়নি। নড়িয়া থানার ওসি শেখ কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েটির বাবা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। এখন তিনি মামলা করার কথা কেন অস্বীকার করছেন বুঝতে পারছি না। নতুন মামলা করতে হলে তাঁকে আদালতে যেতে হবে।’