চলমান নাশকতা, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস বন্ধের জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। তা না-হলে এসব বন্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল শুক্রবার বিকেলে সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ কর্মসূচি থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট গণতন্ত্রের নামে আজ মানুষ হত্যার উৎসবে নেমেছে। তারা আজ মানুষ পুড়িয়ে, বাসে আগুন দিয়ে নাশকতা শুরু করেছে। আমরা এই নাশকতার তীব্র নিন্দা জানাই।’
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ২৭ জানুয়ারি দেশের সব জেলা-উপজেলার শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হবে জানিয়ে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘ওই দিন আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শপথ নেব।’
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক বলেন, ‘কোনো একটি রাজনৈতিক দলের একার পক্ষে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আমাদের সবাইকে এই সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘আজকে যাঁরা অবরোধ করছেন তাঁরা বার্ন ইউনিটে যান, দেখেন আপনাদের আন্দোলনের সফলতা। এভাবে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলতে পারে না।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী, নাট্যজন ইনামুল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, নাট্যজন আতাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব কামরুল হাসান, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ঝুনা চৌধুরী প্রমুখ।
বেলা তিনটা থেকে এই অনুষ্ঠান রাত অবধি চলে। বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে দেশের গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, সংহতিসহ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা।