পেট্রলবোমা ছোড়ার সময় তিনজনকে ধরে গণপিটুনি

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ মহাসড়কের কাশীপুর দেওয়ানবাড়ী এলাকায় বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে লোকজন তিন যুবককে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। ছবিটি দেওয়ানবাড়ী এলাকা থেকে তোলা। ছবি: পাপ্পু ভট্টাচার্য্য, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ মহাসড়কের কাশীপুর দেওয়ানবাড়ী এলাকায় বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে লোকজন তিন যুবককে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। ছবিটি দেওয়ানবাড়ী এলাকা থেকে তোলা। ছবি: পাপ্পু ভট্টাচার্য্য, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাসে ভাঙচুর চালিয়ে পেট্রলবোমা ছোড়ার সময় তিন ব্যক্তিকে আটক করে পিটুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ওই তিনজনের কাছ থেকে পাঁচটি পেট্রলবোমা ও গান পাউডার উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আটক তিন ব্যক্তি হলেন ফতুল্লা রেলওয়ে স্টেশন এলাকার আবদুস সোবহানের ছেলে মাহমুদ (২৫), সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকার মান্নান গাজীর ছেলে আবু সাঈদ (৩৫) ও ফতুল্লা নবীনগর এলাকার মোহাম্মদ মোতালেব মিয়ার ছেলে শিহাব (১৯)।
জনতার পিটুনিতে আহত ওই তিন ব্যক্তিকে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। এঁদের মধ্যে মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেলা একটার দিকে ঢাকাগামী দীঘিরপাড় পরিবহনের একটি বাস ফতুল্লার কাশিপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় ১০-১৫ জন নাশকতাকারী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এর গতি রোধ করে। তাঁরা লাঠিসোঁটা দিয়ে ভাঙচুরের পর পেট্রলবোমা দিয়ে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। আতঙ্কে বাসের যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় আশপাশের লোকজন ধাওয়া দিয়ে তিন নাশকতাকারীকে আটক করে গণপিটুনি দেন।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের প্রথম আলোকে জানান, মোটরসাইকেল দিয়ে পেট্রল পাম্প থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে নাশকতার কাজে ব্যবহার করেন ওই ব্যক্তিরা।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।