বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফন!

বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সোলাইমান উদ্দিন জিসানের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম কুমিল্লা নগরের টিক্কারচরে লাশটি দাফন করে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত জিসানের পরিবারের সদস্যরা।
জিসানের মা ফাতেমা বেগম জানান, গতকাল সকালে লাশ নিতে তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লতিফপুর গ্রাম থেকে কুমিল্লায় আসেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গেলে তাঁকে জানানো হয়, লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি নগরের টমছমব্রিজ এলাকায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কার্যালয়ে যান। সেখানে গেলে তাঁকে লাশ দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নিহত জিসানের স্বজনেরা দাবি করেন, পরিবারকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করা হয়েছে। জিসানের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘তারা আমার ছেলেকে কবর দিয়ে ফেলেছে। লাশ না পেয়ে এখন আমি বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘কেউ যদি লাশ নিতে না আসে, তাহলে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম দাফন করে। নিহত জিসানের পরিবার নির্ধারিত সময়ে না আসায় লাশ দাফন করা হয়েছে।’
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কুমিল্লা জেলা সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘নগরের টিক্কারচর এলাকায় বেওয়ারিশ লাশ দাফনের গোরস্থানে ওই ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়। প্রশাসন আমাদের কাছে লাশ দাফনের জন্য পাঠায়। এরপর আমরা ওই লাশ দাফন করি।’ পরিচিত ব্যক্তির লাশ এভাবে দাফন করার বিধান আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাম-ঠিকানাসহ পরিচয় থাকলে তা করা হয় না।
এদিকে জিসানের মা ফাতেমা বেগম বলেন, জিসানকে দাফন করার জন্য গ্রামে কবর খোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ এসে কবর ভরাট করে দেয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পুটিয়ায় র্যা বের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪৪ মামলার আসামি জিসান নিহত হন।