পোড়া দেহ নিয়ে কুৎসিত রাজনীতি বন্ধ করুন

‘এজেন্ট ও গোয়েন্দা দিয়ে পেট্রলবোমা মেরে নিরপরাধ মানুষ পুড়িয়ে তাদের পোড়া দেহ নিয়ে কুৎসিত রাজনৈতিক বেসাতি বন্ধ করতে’ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রলবোমা হামলায় ৩০ জন মানুষের দগ্ধ হওয়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল শনিবার ২০ দলের এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান জোটের পক্ষে এ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে অবরোধ কর্মসূচিতে পেট্রলবোমা হামলার জন্য সরকারকে দায়ী করে বলা হয়, ‘আর কত নির্মম, নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক হবেন? আর কত মানুষ পুড়লে আপনাদের ক্ষমতার মসনদ নিরাপদ হবে? মানবিকতা ও বিবেকের দোহাই দিয়ে বলছি, এই নিষ্ঠুর আগুন-খেলা থামান। মানুষকে বাঁচতে দিন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ক্ষমতাসীনেরা এসব নৃশংস বর্বরতা বন্ধ করতে পারছে না। কোনো দুর্বৃত্তকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনার পর বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
সেলিমা রহমান বলেন, দগ্ধ মানুষের লাশ ও পুড়ে যাওয়া শরীরকে ঘিরে সরকার জঘন্য রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। নিয়ন্ত্রিত প্রচারমাধ্যমে জনগণের ন্যায়সংগত আন্দোলন ও নেতাদের বিরুদ্ধে একতরফা ঘৃণ্য প্রচারণা চালাবার সুযোগ হিসেবে তারা এসব মর্মান্তিক ঘটনাকে ব্যবহার করছে। ২০ দলের নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়ন, জুলুম-নির্যাতন ও হত্যা-গুমের পথ প্রশস্ত করছে। আবেগ আর প্রচারণার তোড়ে ক্ষমতাসীনদের সব অপকর্ম আড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, সরকার খালেদা জিয়াকে কুৎসিত আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। তাঁকে অবরুদ্ধ ও মুক্ত রাখার জঘন্য নাটক চলছে। তাঁর ওপর বিষাক্ত পেপার স্প্রে ছোড়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত তাঁকে গ্রেপ্তার করার এবং তাঁর ওপর সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে সচেতন দেশবাসী সহজেই অনুধাবন করতে পারে যে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা এবং বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতন আরও বাড়ানোর জন্য ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিতেই এসব ঘটনা ঘটছে।