সহিংসতার বিরুদ্ধে সমবেতভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণকে সমবেতভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাজধানীতে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশের বক্তারা। তাঁরা অবিলম্বে হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক আন্দোলন প্রত্যাহার করে মানুষ হত্যা বন্ধের দাবি জানান।
রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে গতকাল শনিবার সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চ এই মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য বলেন, এটি রাজনীতি নয়, নাশকতা। এটি আন্দোলন নয়, সহিংসতা। এভাবে আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যার দায় খালেদা জিয়াকে নিতে হবে।
সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় রায় বলেন, ‘যে গণতন্ত্রের নামে জনগণের সম্পদ ও প্রাণহানি হয়, সেই গণতন্ত্র অবাঞ্ছিত। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা যেভাবে মাঠে নেমেছিল, সহিংসতা বন্ধে সবাই সেভাবে নেমে আসুন।’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জমান খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে এ দেশকে জঙ্গিবাদী ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার যে ষড়যন্ত্র চলছে, তার নিন্দা জানাই।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, জনগণের প্রতিরোধ শুরু হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া অবরোধ প্রত্যাহার করতে পারবেন না, কারণ তিনি রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের কাছে মাথা নত করে ফেলেছেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শিরীন আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারক আলভী ও সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান প্রমুখ।
মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে একটি মিছিল জাদুঘরের সামনে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কদ্বীপের সামনে গিয়ে শেষ হয়।