গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা, শাশুড়ি গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় এক গৃহবধূকে গত শনিবার পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের দাবি করে না পেয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাঁর শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত গৃহবধূর নাম আয়েশা খাতুন (২০)। তিনি তাড়াশ উপজেলার বিনসাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী, শ্বশুর আবদুল ওয়াহাব মোল্লা ও শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর বাবা আমিনুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শরিফুল ইসলামের (২৬) সঙ্গে এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী পেঙ্গুয়ারী গ্রামের আয়েশা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁর স্বামী যৌতুকের দাবি করতে থাকেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে। গত শনিবার বিকেলে যৌতুকের ১ লাখ টাকা আনার জন্য আয়েশাকে তাঁর বাবার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেন শরিফুল। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে তাঁকে বেদম মারধর করেন। একপর্যায়ে মৃত্যু হলে তাঁর গলায় রশি পেঁচিয়ে বিষয়টি আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে গতকাল রোববার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য আয়েশার স্বামী শরিফুলের মুঠোফোনে ফোন করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আয়েশার শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যরা সবাই পলাতক। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।