পানের হাটে ক্রেতা কম, হতাশ চাষি

মহেশখালীর জনতা বাজারে ক্রেতার অপেক্ষায় চাষিরা। ছবিটি গত মঙ্গলবার তোলা l প্রথম আলো
মহেশখালীর জনতা বাজারে ক্রেতার অপেক্ষায় চাষিরা। ছবিটি গত মঙ্গলবার তোলা l প্রথম আলো

টানা হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার পানের হাটে। কমে গেছে পাইকারি ক্রেতা। দিন দিন কমছে পানের দামও। এ কারণে লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
গত মঙ্গলবার মহেশখালীর বড় পানের হাট জনতা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, হাটে ক্রেতা কম। অনেকে পানের খঁাচি নিয়ে সারা দিন বসে থেকেও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না। একই অবস্থা গোরকঘাটা, বড় মহেশখালীর নতুন বাজার, হোয়ানকের টাইম বাজার, পানিরছড়া বাজার, কালারমারছড়া বাজার ও শাপলাপুর বাজারের।
চাষিরা জানান, হরতাল-অবরোধের কারণে চট্টগ্রামের বাইরের পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসছেন না। এখন চট্টগ্রাম, চকরিয়া ও কক্সবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসছেন, তাও সংখ্যায় কম। অবরোধের আগে এক বিড়া পান (বড়) ৩৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এখন সেই পান বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। এর পরও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারা এলাকার পানচাষি মোহাম্মদ হোছাইন ও রমিজ আলম জানান, হরতাল-অবরোধ অব্যাহত থাকলে এবার পান বিক্রি করে লাভ তো দূরের কথা, চাষের খরচ ওঠে কি না সন্দেহ আছে। অনেক চাষি লোকসানের মুখে পড়বেন।
জনতা বাজার পানের হাটের ইজারাদার কাউসার মাহমুদ বলেন, অবরোধ ও হরতালের প্রভাবে কুমিল্লা, নরসিংদী, ঢাকা ও টাঙ্গাইল এলাকার পাইকারি ক্রেতারা আসছেন না। এ কারণে হাটে পাইকারি ক্রেতা কমে যাওয়ায় পানের দাম কমছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, মহেশখালীতে এবার ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বিল বরজ ১০০ ও পাহাড়ি বরজে ১ হাজার ৪০০ হেক্টর। এক হেক্টর জমিতে পান চাষ করতে চাষিদের খরচ লাগে ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে পানের দাম কমছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চাষিরা লোকসানের মুখে পড়বেন।