বিশ্বকে আলোকিত করার প্রত্যয়

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গতকাল খুলনার সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় l ছবি: প্রথম আলো
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গতকাল খুলনার সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় l ছবি: প্রথম আলো

শুধু দেশের মানুষ নয়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একসময় বিশ্বের মানুষকে আলোকিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
গতকাল শুক্রবার খুলনার সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে দেশভিত্তিক উৎকর্ষ (বই পড়া) কার্যক্রমের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যাত্রা শুরু করেছিল মাত্র ১৫ জন সদস্য নিয়ে। আজ তা লাখোগুণ বেড়ে ১৫ লাখে পৌঁছেছে। এটি আর এক শ গুণ বাড়লেই দেশের প্রায় সব মানুষকে বই পড়া কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব হবে। এভাবে একসময় শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের মানুষকেও আমরা আলোকিত করতে পারব।’
আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ৩৬ বছর ধরে সারা দেশে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বই পড়া কর্মসূচি চালিয়ে আসছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বর্তমানে প্রায় আট হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে ও গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত গতকালের উৎসবে স্বাগত, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও সেরা পাঠক পুরস্কার—এই চারটি শিরোনামে খুলনা মহানগরের ৪৫টি বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ২৪২ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ ফুলের মালা কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন।
দুই পর্বের এই উৎসবে অন্যদের মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ আলমগীর, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল, নাট্যব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব আবদুন নূর তুষার, করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা আরজুমান্দ ও গ্রামীণফোন খুলনা অঞ্চলের লিড ম্যানেজার মো. আহসানুল হক উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উপদেষ্টা অঞ্জন কুমার দে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেন্দ্রের ডেপুটি টিম লিডার (প্রোগ্রাম) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।