পাথর ভাঙার অবৈধ কলের ১১ চালককে অর্থদণ্ড

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় পাথর ভাঙার অবৈধ কল (স্টোন ক্রাশার মিল) উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চলাকালে ১১ জনকে অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সিলেট সদরসহ কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাটে অবৈধভাবে পাথর ভাঙার কল পরিচালিত হচ্ছে। এসব কল পরিবেশ ধ্বংস করছে। পাশাপাশি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জনজীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আইনি নোটিশ দেয় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, বেলার নোটিশ পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার ভূমি শাখা জরিপ চালিয়ে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের আশপাশে অন্তত শতাধিক অবৈধ কলের সন্ধান পায়। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন ১৪ ডিসেম্বর অবৈধ কল অপসারণ করতে মালিকদের নির্দেশ দেয়। তবে নির্দেশ উপেক্ষা করে চলতে থাকে এসব কল। আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতা ‘বেসরকারি পরিবেশ উন্নয়ন কমিটি’ গঠন করে কলমালিকদের নিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ১৫ জানুয়ারি প্রথম আলোয় ‘পরিবেশ ধ্বংসও করছেন, রক্ষায়ও নেমেছেন!’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়। এরপর উপজেলা প্রশাসন অবৈধ কলের তালিকা করে বুধবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান শুরু করে। এ সময় হাতেনাতে ১১ কলচালককে আটক করা হয়। এরপর প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
ইউএনও মো. খালেদুর রহমান বলেন, আটক ব্যক্তিরা অবৈধ কলচালকের পেশায় আর থাকবেন না মর্মে মুচলেকা দেওয়ায় জরিমানা করে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।