'মার্শাল ডেমোক্রেসি' চালু করেছে সরকার: বিএনপি

দলের পক্ষ থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকার দেশে গণতন্ত্রের নামে ‘মার্শাল ডেমোক্রেসি’ চালু করেছে। একদলীয় সরকারব্যবস্থা কায়েমের পর একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তন করার লক্ষ্যে এক ব্যক্তির ইচ্ছাকেই আইনের উৎসে পরিণত করা হচ্ছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বিচ্ছিন্ন করা বিদ্যুতের সংযোগসহ সব যোগাযোগ মাধ্যম পুনঃস্থাপনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে আহ্বান জানান সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অন্যথায় উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে এবং এর পরিণতি কখনোই শুভ হবে না।
সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সকল অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। সভা-সমাবেশ ও কথা বলার অধিকার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’
‘জনসভায় ঘোষণা দিয়ে’ গভীর রাতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড ও কেবল লাইনসহ সব বৈদ্যুতিক যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সরকারি দল ঘোষণা দিয়েছে পানি, গ্যাস ও খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। সভ্য দুনিয়ার ইতিহাসে এ রকম ঘৃণিত ও জঘন্য নজির কোথাও পাওয়া যাবে না।’
দেশের এবং বিশ্বের সব মানবাধিকার সংস্থা, সংগঠন ও মানবাধিকারকর্মীদের কাছে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দেখুন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নামে কত ঘৃণ্য জংলিতন্ত্র কার্যকর হয়েছে ভোটারবিহীন এই সরকারের বদৌলতে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কাছে আবেদন জানাই, আপনারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনুধাবন করে যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
বিএনপির আরেক যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানান সালাহ উদ্দিন। একই সঙ্গে তিনি গ্রেপ্তার করা বিএনপি ও জোটের সব নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি জানান।