দাম বেড়েছে সবজি পেঁয়াজ ও রসুনের

ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে গত সপ্তাহে রাজধানীর কাঁচা-বাজারে শাকসবজির দাম বেড়ে গিয়েছিল। পরে দাম কিছুটা কমলেও গতকাল শুক্রবার কয়েকটি সবজির দাম আবার বেড়েছে। বেড়েছে দেশি পেঁয়াজ ও রসুনের দামও।মাছের সরবরাহ কম বলে দাম এখনো চড়া।রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে গত সপ্তাহে এক কেজি টমেটো ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়সের দাম ২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা, করলা ২০ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা, পটোল ২৫ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা, ঝিঙে ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, ৩২ থেকে ৩৫ টাকার বরবটি ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া গাজর ৪০ টাকা, কাঁকরোল ও বেগুন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।আলু গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১২ থেকে ১৫ টাকায়; এ সপ্তাহেও দাম একই রয়েছে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁপে (৪০ টাকা কেজি) ও শসা (২০ টাকা কেজি)।পাইকারি বাজারে দাম না বাড়লেও কাঁচাবাজারে হঠাৎ বেড়েছে দেশি পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখন ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। আগে ছিল ৩০ থেকে ৩২ টাকা। শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক মাস ধরে দেশি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ২৭ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচাবাজারে দেশি রসুনের দাম ৬৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এই রসুনের পাইকারি দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।দুই দিন আগেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি। গতকাল কিনতে হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। তবে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই, প্রতি হালি ৩২ থেকে ৩৩ টাকা।ছোট আকারের প্রতি কেজি রুই মাছ গতকাল ২৫০ টাকার মধ্যেই কেনা গেছে। তবে বড় রুই ও কাতলা মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়। প্রতি কেজি পাঙাশের কেজি ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৪০, কোরাল ও আইড় ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। বড় আকারের (এক কেজি বা তার ওপরের ওজনের) ইলিশ এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৫০০ এবং মাঝারি আকারের ইলিশ (৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম) ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।চাল, চিনি ও আটা-ময়দা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা কমেছে। তবে বোতলজাত তেলের দাম কমেনি।