যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন ফের বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় গত সোমবার থেকে ফের ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। পাঁচ মাস পর উৎপাদন শুরু হওয়ার
চার দিনের মধ্যে বন্ধ হলো। কার্বন ডাই-অক্সাইড কম্প্রেসরের ত্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গেছে।
উৎপাদন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে চলতি মৌসুমে সারের সংকট
দেখা দিতে পারে বলে জানান কারখানার তালিকাভুক্ত পরিবেশকেরা (ডিলার)। তবে দ্রুত কারখানার উৎপাদন শুরু হবে এবং সারের সংকট হবে না এমন দাবি কর্তৃপক্ষের।
কারখানার কারিগরি বিভাগ জানায়, গ্যাস সরবরাহ না থাকা ও নানা যান্ত্রিক জটিলতার কারণে গত ৯ এপ্রিল থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ ছিল। গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাত থেকে কারখানার উৎপাদন শুরু হয়। গত সোমবার রাতে কার্বন ডাই-অক্সাইড কম্প্রেসরে ত্রুটি দেখা দিলে আবার ইউরিয়ার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে কারখানার নিজস্ব ও আমদানি করা সারের মজুদ প্রায় ২৪ হাজার মেট্রিক টন। কারখানার অন্তর্ভুক্ত পাঁচ জেলার পরিবেশকদের মধ্যে আমদানি করা সার সরবরাহ করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সার ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান,
কয়েক মাস কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় নিজস্ব মজুদ কমে যায়। এখন পরিবেশকদের আমদানি করা সার সরবরাহ করা হচ্ছে। যান্ত্রিক
ত্রুটির কারণে আবারও কারখানার উৎপাদন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে চলতি আমন মৌসুমে সারের সংকট দেখা দিতে পারে।
আশুগঞ্জ সার কারখানার মহাব্যবস্থাপাক (উৎপাদন) প্রকৌশলী মো. জিন্নাত আলী প্রথম আলোকে জানান, কার্বন ডাই-অক্সাইড কম্প্রেসরের ত্রুটির কারণে গত সোমবার রাত ১০টা থেকে ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় প্রকৌশলীরা ইতিমধ্যে মেরামতের কাজ শুরু করেছেন। তিনি
আরও জানান, গতকাল রাত (মঙ্গলবার) বা আজ বুধবার সকালের মধ্যে কারখানা পুনরায় উৎপাদনে ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখনো কারখানার গুদামে প্রায় ২৪ হাজার মেট্রিক টন সার মজুদ রয়েছে। ফলে সার সংকটের সম্ভাবনা নেই।