সিলেটে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন, চার দিন পর মামলা দায়ের

সিলেট নগরের জিন্দাবাজারে গত বুধবার স্বর্ণালংকারের দোকানে লুটপাট ও ডাকাতের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে মিছিল বের করেন ষ প্রথম আলো
সিলেট নগরের জিন্দাবাজারে গত বুধবার স্বর্ণালংকারের দোকানে লুটপাট ও ডাকাতের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে মিছিল বের করেন ষ প্রথম আলো

সিলেটের নেহার বিপণিবিতানে বোমা ও গুলি ছুড়ে গয়নার দোকানে লুটপাট ও নিরাপত্তাকর্মী হত্যার প্রতিবাদে নগরের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গতকাল রোববার ধর্মঘট কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
গত বুধবার রাতে ওই বিপণিবিতানে অতর্কিত বোমা ও গুলি ছুড়ে গয়নার দোকানে লুটপাট হয়। এ সময় গুলিতে বিপণিবিতানের নিরাপত্তাকর্মী বাদশা মিয়া (৫০) নিহত ও ব্যবসায়ীসহ সাতজন আহত হন। লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার ও লুটপাটকারী ডাকাতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঘটনার পরদিন জুয়েলারি সমিতি সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘট পালন করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদ ও জুয়েলারি সমিতির যৌথ আহ্বানে গতকাল সকাল-সন্ধ্যা ওই ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হয়। ধর্মঘটে নগরের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় অনেকটা হরতালের মতো অবস্থা বিরাজ করে। নগরের কেন্দ্রস্থলের বিপণিবিতানসহ পাড়া-মহল্লার দোকানপাটও বন্ধ ছিল। ব্যবসায়ীদের এ কর্মসূচির প্রতি সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দেখা গেছে। সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স্থানে খণ্ড খণ্ড মিছিল করেন। বেলা একটার দিকে স্বর্ণশিল্পী শ্রমিক সমিতি বন্দরবাজার থেকে মৌন মিছিল বের করে নেহার বিপণিবিতানের সামনে অবস্থান করে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে মহাসমাবেশে মিলিত হয়।
বিকেল চারটার দিকে কোর্ট পয়েন্টে সিলেট ব্যবসায়ী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শেখ মো. মখন মিয়ার সভাপতিত্বে মহাসমাবেশ থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত গণসংযোগ করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানানো হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে মহাসমাবেশে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণ উদ্ধারের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
মামলা দায়ের: ঘটনার চার দিনের মাথায় গত শনিবার রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে। ওই বিপণিবিতানের আল-বারাকা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী শেখ মো. জুবায়ের বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় সাতজনকে আসামি করে ওই মামলা করেন। মামলায় হতাহত ব্যক্তিদের বর্ণনা দিয়ে দুই কোটি ২০ লাখ টাকার ৪২০ ভরি স্বর্ণ লুটের অভিযোগ করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ আইয়ুব প্রথম আলোকে জানান, এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ নাসিরউদ্দিন মোহাম্মদকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে।