১০ গ্রামের মানুষের সংঘর্ষ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অটোরিকশা চলাচলের কর্তৃত্ব নিয়ে গতকাল রোববার ১০টি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। এ সময় তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং কমপক্ষে ২৫টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী থেকে ভাঙ্গা উপজেলা সদরের সড়কে অটোরিকশা চলাচলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের সুয়াদী গ্রামের সঙ্গে পাশের সোনাখোলা ও নাওড়া গ্রামের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অটোরিকশাচালকদের মধ্যে গত এক মাসে বেশ কয়েকবার মারামারি হয়।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার গুনপালদী অটোস্ট্যান্ডে সুয়াদী ও সোনাখোলা গ্রামের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। এর জের ধরে পরদিন ওই সড়কে কোনো অটোরিকশা চলেনি। রোববার (গতকাল) সকালে সোনাখোলা গ্রামের অটোরিকশাচালক সবুজ গুনপালদী স্ট্যান্ডে গেলে তাঁকে সুয়াদী গ্রামের লোকজন মারধর করে। এই নিয়ে সকাল নয়টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে সোনাখোলার পক্ষে গুনপালদী, নাওড়া, অপরপট্টি, কৈখালী, নলিয়া, মাঝারদিয়া এবং সুয়াদীর পক্ষে সুলনা ও চান্দ্রা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের সময় নাওরা গ্রামের দুজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। অন্যদিকে সুয়াদী গ্রামের একজনের বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন অগ্নিসংযোগ করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়।
সুয়াদী গ্রামের দেলোয়ার মাতুব্বর বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন গ্রামের কম্পিউটারের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
আলগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাওড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সংঘর্ষে গ্রামের দুইটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, কমপক্ষে ২০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।’
ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ বলেন, ভাঙ্গা থানার পাশাপাশি ফরিদপুর পুলিশ লাইনস ও আশপাশের কয়েকটি থানা থেকে অতিরিক্ত ৪০ জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা ৭৭টি গুলি ও ছয়টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।