নৌ-দুর্ঘটনা ঘটছে, তদন্ত হচ্ছে, ফল শূন্য

নৌ-দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে, তদন্ত করছে। কিন্তু ফল শূন্য। নৌ-দুর্ঘটনা থামছে না। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটি মনে করে, বিভিন্ন সময়ে নৌ-দুর্ঘটনার পর সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়।
কমিটি নৌ-দুর্ঘটনা রোধে মন্ত্রণালয়কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বলেছে। মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে কমিটি এ বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠাবে। সে জন্য আগামী ১২ মার্চ কমিটির পরবর্তী বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে মন্ত্রণালয়কে তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
সংসদ ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নৌ-দুর্ঘটনা রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেটা যথেষ্ট নয়। দুর্ঘটনা ঘটছে, তদন্ত হচ্ছে। ফল শূন্য। দুর্ঘটনা কিন্তু ঘটেই চলছে। সে জন্য দুর্ঘটনা রোধে কী কী করা যায়, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। সভাপতি আরও বলেন, সড়কে ট্রাফিক পদ্ধতি আছে, আকাশেও আছে। কিন্তু নৌপথে কোনো ট্রাফিকব্যবস্থা নেই। নেই রুট ব্যবস্থাপনাও। কমিটি মনে করে, নৌপথে ট্রাফিক ও রুট ব্যবস্থাপনার দরকার আছে। তাতে দুর্ঘটনা কমবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, গত রোববার পাটুরিয়া ঘাট থেকে দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে যাওয়ার পথে মাঝনদীতে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় এমভি মোস্তফা-৩ নামের একটি লঞ্চ। ওই দুর্ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিটিতে নৌ-দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়।
রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, আবদুল হাই, হাবিবর রহমান, এম আবদুল লতিফ ও আনোরুল আজীম অংশ নেন।