অবরোধ কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্টের রুল

অবরোধকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হরতাল ও অবরোধে আইনগত বাধা নিষেধ আরোপে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা-ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। চারটি ব্যবসায়ী সংগঠনের করা একটি রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্যসচিব, বাণিজ্যসচিব ও আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল, বিকল্প ধারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

পরে ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, অবরোধকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং অবরোধে আইনগত বাধা নিষেধ আরোপে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, এটিসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আদালত রুল দিয়েছেন।

হরতাল-অবরোধে সামগ্রিক অচলাবস্থা দূর এবং সুষ্ঠু, স্বাভাবিক ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ফেরত আনার লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার রিট আবেদন করে ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ। এর ওপর গতকাল রোববার ও আজ শুনানি হয়। পরে আদালত এ রুল জারি করেন।

এর আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের চলমান অবরোধ-হরতালে যেসব নাশকতার ঘটনা ঘটছে, তার চিত্র তুলে ধরে জনস্বার্থে হরতাল-অবরোধে সন্ত্রাস, নাশকতা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে একটি রিট করা হয়। কেরানীগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. শাহীনুর ইসলাম শাহীন রিট আবেদনটি করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ কয়েকটি বিষয়ে রুল ও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।

রুলে অবরোধ ও হরতালে পেট্রলবোমা ও ককটেল হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় অসাংবিধানিক প্রাণঘাতী অবরোধ ও ভীতিকর হরতাল রোধে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।