ভাঙ্গুড়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ সাতজন গুলিবিদ্ধ

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় রেলওয়ের জমি দখল নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির স্থানীয় দুই নেতা ও তাঁদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাতজন আহত হয়েছেন। গত বুধবার রাতে ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লোকমান হোসেন বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে ভাঙ্গুড়া থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ মামলার আসামি ভাঙ্গুড়া পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ ও তাঁর ছেলে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরে রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) বেশ কিছু পরিত্যক্ত জমি রয়েছে। ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে
রয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ নিচু জমি। সম্প্রতি লোকমান হোসেন জমিটি ভরাট করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর আবদুল ওয়াহেদও জমিটির মালিকানা
দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে আবদুল ওয়াহেদ তাঁর লোকজন নিয়ে জমিটিতে টিনের বেড়া দিতে যান। খবর পেয়ে লোকমান হোসেন তাঁর লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে আবদুল ওয়াহেদ তাঁর লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এতে লোকমানের সমর্থক উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফ হোসেন, রিপন হোসেন, আবদুল আজিজ, রফিকুল ইসলাম, আফতাব উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ও মানিক হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে এলাকাবাসী তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে সবাইকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার বলেন, আবদুল ওয়াহেদ ও তাঁর ছেলে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আবদুল ওয়াহেদের বন্দুকটিও জব্দ করা হয়েছে।
রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) পাকশী এলাকার ভূমি কর্মকর্তা কিরণ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের জানামতে, রেলওয়ের ওই জমিটি কাউকেই ইজারা দেওয়া হয়নি। তাই কারও ওই জমি দখল করার এখতিয়ার নেই।’