রামগড়-বালুখালী সড়ক বেহাল

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় খাগড়াছড়ির রামগড়-বালুখালী সড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের এই সড়ক ২০০৪-০৫ অর্থবছরের পর সংস্কার করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আমান উল্লাহ, মো.আবু বক্কর, বিবি জুলেখা ও কুসুম মালা চাকমা বলেন, এবার বর্ষায় সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হলেও মূলত ২০০৯ সালে সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। বিভিন্ন স্থানে ইট-কংক্রিট উঠে সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নূরুর টিলা নামক স্থানে সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ।
সড়কের হাতির খেদা বিজিবি ক্যাম্প থেকে নাকাপা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ ইট বিছানো। সরেজমিনে দেখা যায়, এই অংশের অবস্থা বেশি খারাপ।
রামগড় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রিয়াদ হোসেন ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, সড়কের এই অবস্থার কারণে সম্প্রতি গইয়াপাড়ায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির একটি প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে তাঁরা বেকায়দায় পড়েন।
পাতাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ৮ জুন জেলা প্রশাসকের মাসিক সমন্বয় সভায় সড়কটির দুরবস্থার কথা তুলে ধরেছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন।’
এলাকাবাসী জানান, ১৪-১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ সড়কটি ব্যবহার করে। এর মধ্যে ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরাও রয়েছে। সড়কের দুরবস্থার কারণে পঞ্চম শ্রেণীর পর দূরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারে না এলাকার ছেলেমেয়েরা। জিপ বা পিকআপ ভ্যান চলতে না পারায় কৃষকেরা ফসল বাজারে নিতে পারেন না।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর বলেন, সড়কটির দুরবস্থার কারণে দুর্গম অঞ্চলে অবস্থিত সোনারখিল, বালুখালী, গইয়াপাড়া, মরাকয়লা, গুজাপাড়া, বেলছড়ি, সালদাপাড়া, তৈচাকমা, থলিপাড়া, ছাইদংপাড়া, সিলেটকলোনি, রুপাইশিং পাড়া, নাজিরামপাড়া, তালমনিপাড়া ও নাকাপা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু কারবারি বলেন, গ্রামীণ জনপদে যোগাযোগের জন্য সড়কটি অত্যন্ত জরুরি। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সড়কটি নির্মাণ করে। সঠিক দেখাশোনার অভাবে বর্তমানে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, সড়কটির এই অবস্থার কথা শিগগিরই উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হবে।