পাঁচ ব্যাংকের কাছে ১৭২ কোটি টাকা আদায়ে আপিলের সুপারিশ

দেশের প্রথম সারির পাঁচটি ব্যাংক অনুমোদনযোগ্য খরচকে মোট আয়ের সঙ্গে যোগ না করায় আয়কর বাবদ সরকারের ১৭২ কোটি ২৮ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে। এ-সংক্রান্ত মামলায় নিম্ন আদালত ব্যাংকগুলোর পক্ষে রায় দিয়েছেন। তবে এই টাকা আদায়ে হাইকোর্টে আপিল করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুপারিশ করেছে সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

আজ রোববার সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ২০০৯-১০ অর্থবছরের নিরীক্ষা আপত্তি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এক বছরে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে রাজস্ব বাবদ বিমানের বকেয়ার পরিমাণ ২০৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এর মধ্যে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া ৫৬ কোটি টাকা।

পাঁচটি ব্যাংকের বিষয়ে ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের মহাহিসাব নিরীক্ষকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমোদনযোগ্য খরচকে মোট আয়ের সঙ্গে যোগ না করায় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কাছ থেকে আয়কর বাবদ ৫৭ কোটি ৭১ লাখ, প্রাইম ব্যাংকের কাছ থেকে ৩৭ কোটি ৬৫ লাখ, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাছ থেকে ৩৪ কোটি ৭৮ লাখ, পূবালী ব্যাংকের কাছ থেকে ১৮ কোটি ২৩ লাখ এবং এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা কম আদায় করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত নিরীক্ষা আপত্তির বিরুদ্ধে ব্যাংকগুলো আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু এনবিআর এই রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। বিষয়টি সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত হলে তারা এনবিআরকে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের পরামর্শ দেয়।

এ বিষয়ে জানতে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

কার্যপত্রে আরও জানা যায়, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক বাদযোগ্য সীমার অতিরিক্ত খরচ করে মোট আয় হ্রাস করায় আয়কর বাবদ ৫৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং ইসলামী ব্যাংক অননুমোদিত খরচকে মোট আয়ের সঙ্গে যোগ না করায় আয়কর বাবদ ৪ কোটি ১৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। কমিটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ করে এ-সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশ করে।

মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস, রেবেকা মমিন, মঈন উদ্দীন খান বাদল, এ কে এম মাঈদুল ইসলাম ও ওয়াসিকা আয়েশা খান অংশ নেন।