নির্যাতন-হেফাজতে মৃত্যু আইন সংশোধন প্রস্তাবে আসকের উদ্বেগ

নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন সংশোধনের প্রস্তাবে উদ্বেগ জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। প্রকাশ্য ঘোষণার মাধ্যমে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এ প্রস্তাব অবিলম্বে প্রত্যাখ্যান করতে বলেছে সংগঠনটি।

আজ রোববার আসকের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘যার বিরুদ্ধেই নির্যাতনের অভিযোগ আসুক না কেন তা নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করা হবে। নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া না গেলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

উল্লেখ্য, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে পরিবর্তন আনতে পুলিশের সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রস্তাবে নির্যাতন ও নিবারণ আইন ২০১৩-এর ১৪ ধারা ও উপধারার পরিবর্তনের সুপারিশসহ সাতটি ধারা বিলুপ্ত ও একটি নতুন ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করেছে পুলিশ। বিবৃতিতে বলা হয়, এসব সংশোধনী সংবিধানের বিদ্যমান বিধানের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় হেফাজতে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ফলে মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। বর্তমানে যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে হেফাজতে ‘বিচারবহির্ভূতভাবে’ হত্যার অভিযোগ উঠছে তখন তাদের তরফ থেকে এ আইনের সংশোধনী এনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জবাবদিহির ঊর্ধ্বে রাখার প্রস্তাব অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
উল্লেখ্য, ‘নিজেদের সুবিধায় আইনের সংশোধন চায় পুলিশ’ শিরোনামে গত ৫ মার্চ প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: