শিক্ষা কার্যক্রমে সাঁতার শেখা যুক্ত হচ্ছে

নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই নিম্ন মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের (মাদ্রাসা, কারিগরি এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) শিক্ষার্থীরা সাঁতার প্রশিক্ষণ নেবে এবং অনুশীলন করবে। সরকার এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে একটি খসড়া পরিপত্র তৈরি করেছে। খসড়া পরিপত্রটিতে মতামত দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। কাল মঙ্গলবার ২৪ মার্চ পর্যন্ত এতে মতামত দেওয়া যাবে।

খসড়া পরিপত্রে জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফের এক জরিপের তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পাঁচ থেকে ১৭ বছরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ জন এবং বছরে ১৮ হাজারের বেশি সাঁতার না জানায় ডুবে মারা যায়। এ ছাড়া জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শারীরিক শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা পাঠ্য বিষয় হিসেবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাঁতার শেখা ও অনুশীলনকে শিক্ষার্থীদের ‘জীবন রক্ষাকারী কৌশল চর্চা’ হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে।
খসড়ায় শিক্ষার্থীদের সাঁতার অনুশীলনে যেসব পুকুর ও জলাশয় ব্যবহার করা হবে সেগুলোকে স্বাস্থ্যসম্মত এবং সাঁতার উপযোগী করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাঁতার প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আবশ্যিকভাবে লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করতে হবে। এর পাশাপাশি দেশীয় প্রচলিত সরঞ্জাম ব্যবহার করেও শিক্ষার্থীদের সাঁতার শেখানো যাবে। সাঁতার শেখানোর সময় শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক অথবা সাঁতার প্রশিক্ষক এবং একজন নারী শিক্ষকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
খসড়া মতে, কোনো স্কুল-কলেজে পুকুর না থাকলে পাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পুকুর ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কাছের হাজা-মজা পুকুর বা জলাশয়গুলো ব্যবহার উপযোগী করতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে জেলা ও উপজেলা পরিষদের সহযোগিতা নেওয়া যাবে।
মহানগরের যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুকুর বা উপযুক্ত জলাশয় নেই তাদের মহানগরের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স বা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাঁতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
খসড়া অনুযায়ী সাঁতার প্রশিক্ষণের বিষয়টি সার্বিকভাবে নজরদারির আওতায় আনা হবে।