মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঝাউবাগান

মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে নোয়াখালীর হা​তিয়ার টাংকির চরের ঝাউবাগান। ছবিটি সম্প্রতি তোলা l প্রথম আলো
মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে নোয়াখালীর হা​তিয়ার টাংকির চরের ঝাউবাগান। ছবিটি সম্প্রতি তোলা l প্রথম আলো

মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে নোয়াখালীর হাতিয়ার টাংকির চর এলাকার ঝাউবাগান। এতে হুমকিতে পড়েছে বেড়িবাঁধ ও আশপাশের এলাকার বাড়িঘর।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, টাংকির চর এলাকায় মেঘনা নদীর তীর ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় জেলা বন বিভাগের লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তীরের ঝাউবাগানের বেশ কিছু গাছ জোয়ারের পানির তোড়ে ভেঙে নদীর দিকে হেলে পড়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সামাজিক বনায়ন কমিটির উপকারভোগী সদস্য মো. নিজাম বলেন, ২০১১ সালে মেঘনার তীরবর্তী চরাঞ্চল রক্ষার জন্য বনায়ন করা হয়। ঝাউগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয় এই বাগানে। কিন্তু মেঘনার ভাঙনে বাগানের গাছগুলো ভেসে যাচ্ছে। তিনি জানান, ছয়-সাত মাসের মধ্যে ঝাউবাগানের ২৫০-৩০০ গাছ বিলীন হয়ে গেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে ভাঙন আরও বেড়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে বাগান রক্ষা করা কঠিন হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিলন বলেন, টাংকির চরের এই ঝাউবাগান এবং নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনেক প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ এই এলাকায় আসে। ভাঙনে বাগানটি নষ্ট হয়ে গেলে এই এলাকার সৌন্দর্য বলতে কিছু থাকবে না।
বন বিভাগের হাবিবিয়া রেঞ্জ সূত্র জানায়, ২০১১ সালে নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের বাঁধ ও বাঁধসংলগ্ন চর এলাকা বনায়ন প্রকল্পের আওতায় হাতিয়ার টাংকির চর (খাল) ও আশপাশের চর এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির ২৯ হাজার চারাগাছ লাগানো হয়। এরই মধ্যে বাগানের গাছগুলো ওই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।
বন বিভাগের হাবিবিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মেঘনার ভাঙনে গাছ নষ্ট হওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে জেলা কার্যালয়ের সহকারী বন সংরক্ষক বিষয়টি দেখে গেছেন। তিনি জানান, বাগান রক্ষা করতে হলে নদীর ভাঙন রোধ করতে হবে। কিন্তু এ বিষয়ে বন বিভাগের কোনো করণীয় নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নোয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আই এম রিয়াজুল হাসান বলেন, টাংকির চর এলাকায় মেঘনার ভাঙনে নদীর তীরবর্তী এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু ওই ভাঙন প্রতিরোধে এই মুহূর্তে পাউবোর কোনো প্রকল্প নেই।