অপহরণের ১৪ দিন পর মায়ের কোলে শিশুটি

আতাউর রহমান
আতাউর রহমান

মেহেরপুরে ১৪ দিন আগে অপহূত চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আতাউর রহমান ওরফে রকিকে (৯) অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তাকে ভারত থেকে মেহেরপুরের বুড়িপোতা সীমান্ত দিয়ে ফেরত আনা হয়। তাকে দুখু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আতাউরের পরিবারের দাবি, মুক্তিপণ দিয়ে তাকে ফেরত পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ দাবি করেছে, বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তারা শিশুটিকে উদ্ধার করেছে।
গতকাল সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শুভরাজপুরে গিয়ে দেখা যায়, সন্তানকে ফিরে পেয়ে মা রাফিজা খাতুনসহ স্বজনেরা খুশিতে আত্মহারা। গ্রামের শত শত মানুষ শিশুটিকে দেখতে ভিড় করেছেন। শিশুটির বাবা আলিফ হোসেন দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকেন।
সদর উপজেলার বুড়িপোতা সীমান্তের বাজিতপুর গ্রামের সাহেব আলী জানান, গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে মুক্তিপণ নিয়ে দর-কষাকষির পর গতকাল অপহরণকারীরা শিশুটিকে ফিরিয়ে দেয়।
পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, পুলিশ বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা ও যোগাযোগ করে শিশুটিকে মুক্তিপণ ছাড়াই উদ্ধার করেছে।
মেহেরপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, চাপ সৃষ্টির পর সন্ত্রাসীরা শিশুটিকে বাজিতপুর সীমান্তে ফেলে যায়। পুলিশ সেখান থেকে শিশুকে উদ্ধার করে।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, শিশুটি গতকাল বিচারিক হাকিম (সদর) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। শিশুটিকে অক্ষত উদ্ধারের জন্য পুলিশ এত দিন অপরাধীদের ধরতে কোনো অভিযান চালায়নি। এখন পুলিশ অপহরণকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করবে।
৪ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসীরা শিশু আতাউরকে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শুভরাজপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে ভারতে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তার নানা শিক্ষক আবদুল হালিম নিহত হন।