আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১১

নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি গ্রামে বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সিংড়া থানা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সূত্র জানায়, গতকাল সকাল নয়টায় বেড়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগের নেতা (যুবলীগের জেলা শাখার সদস্য) সাইফুল ইসলাম ও তাঁর ভাই রেজাউল করিমের সমর্থকেরা বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একই গ্রামের আরেক আওয়ামী লীগের নেতা (আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি) ইসলাম সরকারের সমর্থক আবদুল হাকিমের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে বেলাল হোসেন (৪৫), বিপ্লব (৪৫), মুনছের আলী (৫৫), আবদুল হাকিম (৫০), আতিকুর রহমান (৫০), রেজাউল ইসলাম (৪৫), আফছার আলী (৫৫), আলম হোসেন (৩৫), আবুল খন্দকার (৭০), সোহেল রানা (৩২) ও ফুটু ওরফে হাসান (৪৫) গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধা জানান, তাঁদের মধ্যে আবদুল হাকিম, আবুল খন্দকার ও ফুটুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া আরও নয়জন লাঠি ও ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন।
এ সময় প্রতিপক্ষ আবদুল হাকিমের বাড়িতে লুটপাটও করে বলে তিনি অভিযোগ করেন। আহত ব্যক্তিদের সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সাইফুল বলেন, ‘ওরাই (সরকারপক্ষ) আগে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি সরকারপক্ষের আহত আবদুল হাকিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ওরা (সাইফুল পক্ষ) আমাদের ক্ষতি করে আসছিল। পুরোনো বিরোধের জের ধরে তারা আমাদের ওপর এবার হামলা করে।’
সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকমল সরকার গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে।’
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম হায়দার ফায়জুর রহমান জানান, কোনো পক্ষ থেকেই লিখিত অভিযোগ পাননি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।