হত্যা মামলার আসামিদের পাঠানো হচ্ছে বিদেশে

নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন আজমেরী ওসমানকে তাঁর বাবা সাংসদ নাসিম ওসমান বিদেশে রেখে এসেছেন। গতকাল বুধবার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ অভিযোগ করেন কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শহীদুল্লাহ।
সভায় কমিটির উপদেষ্টা জেলার পাঁচ সাংসদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না।
শহীদুল্লাহ সভায় বলেন, নারায়ণগঞ্জে ত্বকী, আশিক, মিঠু ও বুলু হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামিদের একের পর এক বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে এসব খুনের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত না হয়। হত্যাকাণ্ডের মূল হোতারা তাঁদের বখে যাওয়া সন্তানদের রক্ষায় প্রশাসনের কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সহায়তায় বিদেশে পাঠাচ্ছেন। অথচ নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি মানুষ খুনিদের নাম জানে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিল বঙ্গবন্ধু জাতীয়করণ করেছিলেন। কিন্তু একটি অবৈধ পরিষদ (যার উপদেষ্টা সাংসদ নাসিম ওসমান, চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন মোল্লা) কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে ওই কারখানা নিট কনসার্ন গার্মেন্টসের মালিক জয়নাল আবেদীন মোল্লার হাতে তুলে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। ৭০০ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ মাত্র ৩৫ কোটি টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কারখানার বৈধ অংশীদারদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাঁদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা চলছে।
সভায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হালিম আজাদ বলেন, সাংসদ নাসিম ওসমান শহরের জামতলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির বাড়ি দখলের পাঁয়তারা করছেন। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও সাংসদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ থেকে বোঝা যায়, ওই দখল চেষ্টায় সাংসদ জড়িত। পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। জেলা প্রশাসক মনোজ কান্তি বড়াল বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।