জেলহত্যা মামলার আসামি কিসমতের কানাডায় মৃত্যু

জেলহত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) কিসমত হাসেম (৬৫) কানাডায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ছয়টায় কানাডার মন্ট্রিলে তিনি মারা যান বলে তাঁর ছোট ভাই নগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু জানিয়েছেন।
শওকত হাসেম আরও জানান, নিজ বাসায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কিসমত হাসেমের মৃত্যু হয়েছে। কানাডার সময় শুক্রবার জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ মন্ট্রিলে দাফন করা হবে। তাঁর স্ত্রীর নাম পারভীন হাসেম। তাঁদের কোনো সন্তান নেই।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা মামলার আসামি কিসমত হাসেমকে আদালতের রায়ে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালত কিসমত হাসেমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। জেল হত্যাকাণ্ডের পর পরই কিসমত হাসেম দেশ ত্যাগ করেন। পরবর্তী সময়ে জিয়া ও এরশাদের শাসনামলে তিনি গোপনে দেশে আসা-যাওয়া করলেও ’৯০ সালের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর তাঁকে আর দেশে দেখা যায়নি।
কিসমত হাসেমের পৈতৃক বাড়ি নারায়ণগঞ্জ শহরের ডনচেম্বার এলাকায়। তাঁকে গ্রেপ্তারে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছিল। জেলহত্যা মামলার পলাতক আসামি কিসমত হাসেমকে কানাডা থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চেষ্টা করেও সফল হয়নি।