দুটি সি-ট্রাকই অকেজো, ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাতায়াত

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরচেঙ্গা ও নলচিরা থেকে চেয়ারম্যানঘাট নৌরুটে চলাচলকারী দুটি সি-ট্রাকই দুই মাসের বেশি সময় বিকল পড়ে আছে। ফলে জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় (ট্রলার) উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছে এ দুই চরের বাসিন্দারা।
দ্বীপের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরচেঙ্গা-চেয়ারম্যানঘাট পথে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) ভাষাশহীদ জব্বার ও নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে ভাষাশহীদ সালাম নামের দুটি সি-ট্রাক চলাচল করত। এই সি-ট্রাক দুটিতে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার যাত্রী হাতিয়া থেকে দীর্ঘ ২০-২৫ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়ে জেলার মূল ভূখণ্ডে যাতায়াত করত। কিন্তু গত ২১ জানুয়ারি ভাষাশহীদ জব্বার ও ৬ জানুয়ারি ভাষাশহীদ সালাম বিকল হয়ে যায়। এতে দ্বীপের বাসিন্দারা পড়ে চরম ভোগান্তিতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চেয়ারম্যানঘাটে ভাষাশহীদ সালাম নামের সি-ট্রাকটি পড়ে আছে। ভাষাশহীদ জব্বার সি-ট্রাকটি নেই। লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল নদীপথ পাড়ি দিচ্ছে।
সি-ট্রাকের চার্টার এজেন্ট গোলাম মাওলা ওরফে কাজল বলেন, ভাষাশহীদ জব্বার মেরামতের জন্য নারায়ণগঞ্জের ডকে নেওয়া হয়েছে। ১০-১২ দিন আগে বিআইডব্লিউটিসি বরিশাল থেকে আবদুর রব সেরনিয়াবাত নামে একটি সি-ট্রাক চরচেঙ্গা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে চট্টগ্রাম থেকে ফজলুল হক মণি নামের আরেকটি সি-ট্রাক এনে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কবে নাগাদ নতুন সি-ট্রাক দুটি ঘাটে এসে পৌঁছাবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
গোলাম মাওলা অভিযোগ করেন, সি-ট্রাক বিকল হলে তা মেরামতের জন্য ডকে নেওয়া হলেও যথাযথভাবে মেরামত করা হয় না। ফলে প্রায়ই সি-ট্রাকগুলোয় যান্ত্রিক গোলযোগ লেগে থাকে। এতে এজেন্ট হিসেবে প্রতিনিয়ত তাঁকে আর্থিক লোকসান গুনতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আবদুল মতিন বলেন, এই দুটি রুটের জন্য ইতিমধ্যে অন্য রুট থেকে দুটি সি-ট্রাক দেওয়া হয়েছে। তবে কবে ওই সি-ট্রাক দুটি সংশ্লিষ্ট ঘাটে এসে পৌঁছাবে, তা তিনিও নিশ্চিত করে জানেন না।