ঔপনিবেশিক চিন্তা থেকে মুক্তিতে একমুখী শিক্ষার তাগিদ

ব্রিটিশ শাসকেরা চলে গেছে, গেছে পাকিস্তানিরাও, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। অর্থনীতির উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু সেই ঔপনিবেশিক ধ্যানধারণা থেকে দেশের মানুষের মুক্তি মিলছে না। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে দেশে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে ‘ঔপনিবেশিকোত্তর ঔপনিবেশিক মন’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। এই শিরোনামে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বইয়ের ওপর বক্তারা আলোচনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বইটি লিখেছেন। প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশন।
সেমিনারে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, রাজাকার, পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি জেনারেলদের মনের কোনো পার্থক্য নেই। তৎকালীন শাসকেরা বাঙালির মানসজগতে যে আধিপত্য সৃষ্টি করেছিলেন, স্বাধীন হওয়ার পরও এ দেশের শাসকেরা সেই মনোজগতের পরিবর্তনে আগ্রহী হননি। মন যদি স্বাধীন না হয়, তবে কোনো উন্নয়নকাজে আসবে না।
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, উপনিবেশ চলে গেছে কিন্তু ব্রিটিশ-পাকিস্তানিদের ‘ভূত’ এখনো তাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। নানা জায়গায় তাদের ধ্বংসাবশেষ রয়ে গেছে। বাঙালি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রভুভক্ত ও সাম্প্রদায়িক মন পেয়েছে। শিক্ষার অসম বিকাশের ফলে সেটা আরও বাড়ছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম খান বলেন, ঔপনিবেশিক শাসনের একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে বিভাজন সৃষ্টি করা। নানান সামাজিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই শাসন এখনো চালু আছে।
সভাপতির বক্তব্যে আয়োজক গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক শফিক উজ জামান বলেন, বাংলাদেশে তিন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা চালু থাকার ফলে ঔপনিবেশিক ধ্যানধারণাগুলোর পরিবর্তন হচ্ছে না।