'যে হাত আইন ভাঙছিল, হেই হাতই মানল'

২০ জোড়া কানি বক। প্রতি জোড়া ২০০ টাকা। ফেরি করে বিক্রি করছিলেন দুই ব্যক্তি। পরিবেশকর্মীরা কানি বকের ঝাঁপিসহ বিক্রেতাদের আটক করেন। পরে তাঁদের দিয়েই ২০ জোড়া কানি বক অবমুক্ত করা হয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জলাশয়ে।
বিক্রেতা দুজনের নাম দরস মিয়া ও সাজ্জাদ মিয়া। পেশায় তাঁরা মোরগ বিক্রেতা। নগরের আখালিয়া এলাকার নয়াবাজারে মোরগ বিক্রি করেন। গতকাল শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের সালুটিকরবাজার থেকে মোরগের সঙ্গে ২০ জোড়া কানি বক কিনে আনেন।
গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে কানি বক নিজ হাতে জলাশয়ে ছেড়ে দিয়ে দরস মিয়া অনুশোচনার সুরে বলেন, ‘যে হাত আইন ভাঙছিল, হেই হাতই আইন মানল! আর কোনো দিন ই-কাম করতাম নায়।’
পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সূত্র জানায়, নগরের পাঠানটুলা আল সাফা আবাসিক এলাকায় গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ২০ জোড়া কানি বক ফেরি করে বিক্রি করছিলেন দুই বিক্রেতা। সংবাদকর্মী মোহাম্মদ আশরাফুল কবীর এ দৃশ্য দেখে পরিবেশকর্মীদের খবর দেন। বিক্রেতা দুজনকে আটক করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়। সেখানে জলাশয়ে তাঁদের হাত দিয়ে পাখি অবমুক্ত করা হয়।
বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কিম জানান, বকগুলো খাঁচা থেকে বের করার পর পরই উড়ে নিরাপদে চলে গেছে। বিক্রেতাকে দিয়েই বকগুলো অবমুক্ত করা হয়, যাতে তাঁর বোধোদয় হয়।