কোম্পানীগঞ্জে পাথর ভাঙার কলে আগুন, লুটপাট

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই ইজারাদারের পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে পাথর ভাঙার কলে (স্টোন ক্রাশার মিল) অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৯) সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনাস্থল থেকে আবদুল আলী নামের এক ইজারাদারকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির ইজারাদারি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের ছোট ভাই শামীম আহমদের সঙ্গে একই দলের কর্মী আবদুল আলীর দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। গত মঙ্গলবার সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের গাড়ি আটক করে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষ পাথরশ্রমিকদের নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
রাত নয়টার দিকে শামীম বাহিনীর লোকজন আবদুল আলীর কোম্পানীগঞ্জের পাড়ুয়া এলাকায় ‘আনোয়ারা ক্রাশার মিল’ ও কলাবাড়ি এলাকায় আবদুল আলীর ভাইয়ের ‘সোনা মিয়ার ক্রাশার মিল’-এ আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনার জের ধরে আবদুল আলীর লোকজন সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে পাথরবোঝাই ছয়টি ট্রাক আটক করে পাথর লুট করে। পরে শামীম বাহিনী ও আবদুল আলী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত লিয়াকত, আলামিন, সুমেল, কাচা মিয়াকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পাথর ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইজারা নিয়ে দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের প্রশ্রয়ে রয়েছে। শামীম আওয়ামী লীগের নেতার ভাই ও জয় বাংলা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি। অন্যদিকে আবদুল আলী উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার পক্ষের কর্মী।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সালেহ উদ্দিন আহমদ জানান, পাথর কোয়ারিতে কোনো পক্ষের ইজারাদারি নেই। তবে দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ওই দুটি ঘটনায় দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।