এইচএসসির প্রবেশপত্রের জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তিনটি কলেজে প্রবেশপত্রের জন্য এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সাফা ডিগ্রি কলেজ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০০ টাকা, মিরুখালী কলেজ ও ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ডিগ্রি কলেজ ১০০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেছে।
তিনটি কলেজের কয়েকজন পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ড এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণের সময় ওই টাকা পরিশোধ করার নিয়ম। তবে উপজেলার সাফা ডিগ্রি কলেজের ৩৭৯ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে কেন্দ্র খরচের কথা বলে ৫০০ টাকা এবং মিরুখালী কলেজের ১৩৪ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে নিয়ে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ডিগ্রি কলেজে ৩৭৯ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়।
সাফা ডিগ্রি কলেজের কয়েকজন পরীক্ষার্থী বলে, তাদের কাছ থেকে কেন্দ্র খরচের কথা বলে টাকা নেওয়া হচ্ছে। ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ডিগ্রি কলেজের কয়েকজন জানায়, তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা ও অন্ধকল্যাণ সমিতির লটারির জন্য ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। যদিও কেন্দ্র ফি তারা ফরম পূরণের সময় দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিরুখালী কলেজের এক পরীক্ষার্থী বলেছে, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষ ৪০০ টাকা করে নিয়ে তারপর পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দিচ্ছে। কেন্দ্র ফি যদি নেওয়া হয়, তাহলে ৩০০ টাকা নেবে, ৪০০ টাকা কেন?’
সাফা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, কেন্দ্র খরচের টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় নেওয়া হচ্ছে। একই কথা বলেন মিরুখালী কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল।
ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ডিগ্রি কলেজের প্রধান অফিস সহকারী আবদুল জলিল ফরাজী পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে বিভিন্ন খরচের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু খরচের খাতগুলো সুনির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি তিনি।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, প্রবেশপত্র দেওয়ার সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো টাকা নিতে পারবে না। কোনো কলেজের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।