মিন্টু-পিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল

আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। ফাইল ছবি
আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। ফাইল ছবি

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে বিএনপির নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং ঢাকা দক্ষিণে কারাবন্দী বিএনপির নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে আপিল শুনানিতে। আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শুনানি শেষে এই রায় দেন বিভাগীয় কমিশনার জিল্লার রহমান।

সব শেষে জিল্লার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সব ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও বিধি মেনে করা হয়েছে। কার ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা আদেশেই বলা হয়েছে।

মিন্টুর আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেছেন, তাঁরা আপিলে ন্যায়বিচার পাননি। এতে দেশবাসী হতাশ হয়েছে। রায়ের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা এখন এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন। এ বিষয়ে আইনি লড়াই চালাবেন। তিনি দাবি করেন, সরকারি দলের প্রার্থী হলে হয়তো এমন হতো না। এর আগে বিভাগীয় কমিশনার দীর্ঘক্ষণ শুনানি করেন। শুনানিতে মিন্টুর পক্ষে অংশ নেন বিএনপির নেতা জমির উদ্দিন সরকার, মওদুদ আহমদ, মাহবুবউদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়াসহ বিএনপির সমর্থক আইনজীবীরা। মিন্টুর মনোনয়নপত্রে তাঁর সমর্থনকারী যিনি ছিলেন, তিনি উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার নন, এই ভিত্তিতে মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়েছিল।

পিন্টুর আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, তাঁরা এ রায়ে সংক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, এ রকম অবস্থায় আগেও কয়েকজন নির্বাচন করেছেন। এখন তাঁরা পিন্টুর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

এর আগে আপিল শুনানিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর মনোনয়নপত্রে ভোটার নম্বরের জায়গায় জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্রের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন। আপিল শুনানিতে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা অবশ্যই বিজয়ের অনুভূতি। তিনি জানান, তিনি সম্মিলিত নাগরিক কমিটি থেকে নির্বাচন করছেন।

সকালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিলের শুনানি শুরু হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবদুল মালেকের মনোনয়নপত্রও বৈধ হয়।