ছাতকে অপহৃত ছাত্রের রক্তমাখা শার্ট উদ্ধার

ইমন মিয়া
ইমন মিয়া

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় অপহরণের শিকার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ইমন মিয়ার (৬) রক্তমাখা শার্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ। নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর মিয়ার ছেলে ইমনকে গত ২৭ মার্চ বাড়ির সামনের সড়ক থেকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই গ্রামের মসজিদের ইমাম শোয়েবুর রহমান ওরফে সুজনকে (৩০) গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শোয়েব পুলিশকে জানান, অপহরণের পর ইমনকে হত্যা করা হয়েছে। বিষ খাইয়ে তাকে জবাই করা হয়। এরপর তার লাশ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। দাবি অনুযায়ী দুই লাখ টাকা না পেয়ে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। শোয়েবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার বিকেলে বাতিরকান্দি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ইমন মিয়ার রক্তমাখা শার্ট, একটি বিষের বোতল ও একটি ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২৭ মার্চ বিকেলে ইমন বাড়ির পাশে ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কে খেলছিল। সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়। ইমন স্থানীয় লাফার্জ কমিউনিটি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। এরপর অজ্ঞাত স্থান থেকে মুঠোফোনে পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। গতকাল দুপুরে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ শোয়েবকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, শোয়েব তাদের জানিয়েছে, অপহরণের তিন দিন পর তাকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ গ্রামের একটি পুকুরের পাড়ে পুঁতে রাখা হয়। গতকাল বিকেলে শোয়েবকে নিয়ে ওই স্থানে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু লাশ পাওয়া যায়নি। এ সময় শোয়েব পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানান, তাঁর উপস্থিতিতেই ওই পুকুরপাড়ে ইমনের লাশ পুঁতে রাখা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, এই অপহরণের ঘটনায় আরও চারজনকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা কারা হাজতে আছেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের নিয়ে লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, সম্ভবত শোয়েবের দেখানো স্থান থেকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত অন্যরা লাশ পরে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে।