সিলেটে খালেদা জিয়ার সমাবেশ ৫ অক্টোবর

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিলেট সমাবেশকে ‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড়’ সমাবেশে পরিণত করতে জেলা বিএনপির নেতারা প্রত্যন্ত এলাকা সফর শুরু করেছেন।
বিএনপিদলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া আগামী ৫ অক্টোবর সিলেট আসছেন। সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ১৮-দলীয় জোটের সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেবেন। সিলেটের সমাবেশে তাঁর বক্তব্যই হবে চূড়ান্ত আন্দোলনের সর্বশেষ দিকনির্দেশনা—এমনটিই প্রচার করছেন বিএনপির জেলা নেতারা। সমাবেশ সফল করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে একটানা তিন দিন সিলেটে অবস্থান করে নগর, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে মতবিনিময়ে শমসের মবিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিলেটের সবচেয়ে বড় ময়দান আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ হবে। ইতিমধ্যে মাঠের অনুমতিও নেওয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশ। এম ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার পর খালেদা জিয়া এই প্রথম সিলেট আসছেন। আবার দেশের চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৮-দলীয় জোটের বড় বিজয়ের পর সিলেটে এই সমাবেশ, এসব দিক বিবেচনায় এটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।’
সমাবেশ উপলক্ষে বিভিন্ন উপকমিটি গঠনের মাধ্যমে নগর, জেলা কমিটি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে প্রচারণা শুরু হয়েছে। নগরের বাইরের প্রচারণায় জেলা বিএনপির নেতারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা কমিটিকে নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা তিন দিন পূর্ব সিলেট হিসেবে পরিচিত তিন উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে খালেদা জিয়ার সমাবেশের প্রচারণায় কর্মিসভা করেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি দিলদার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফফার। ওই তিন উপজেলায় তিন দিনের প্রচারণায় সর্বশেষ পর্যায়ে সোমবার রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় কর্মিসভা। এতে তিন উপজেলার পাশের জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপিসহ ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। গোয়াইনঘাট বিএনপির সভাপতি সিরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মিসভায় জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মালিক, কোম্পানীগঞ্জ বিএনপির সভাপতি মো. সামসুদ্দিন, সিলেট জেলা উত্তর শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, গোয়াইনঘাট জামায়াতের আমির সাইদুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি তাজুল ইসলাম, খেলাফত মজলিশের সভাপতি হাফিজ আবদুল হাকিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দিলদার হোসেন বলেন, ‘ঈদুল আজহার পরপরই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে সিলেটের সমাবেশ হবে গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি চেয়ারপারসনের সিলেটের সমাবেশের ঘোষণাই হবে একটি বড় দিকনির্দেশনা। এ জন্য সিলেট বিভাগের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বিপুল লোকসমাগম হবে। স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে ৫ অক্টোবর।