মিজানুরের জামিন শুনানিতে বিচারকের অপারগতা

মিজানুর রহমান। ফাইল ছবি
মিজানুর রহমান। ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার প্রথম আলোর কারাবন্দী প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলায় জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেছেন পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিমল চন্দ্র সিকদার।

মিজানুরের আইনজীবী লুৎফর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হাইকোর্টের জারি করা রুলের কপি আগেই জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই রুলে জামিনের বিষয়টি উল্লেখ থাকায় পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালত আজ এর ওপর শুনানি গ্রহণে অপারগত প্রকাশ করেন। তবে মিজানুরের জামিনের আবেদনটি মামলার সঙ্গে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন। 

পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গত ১৭ মার্চ রাতে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করেছিল বাউফল থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থানায় নিয়ে রাতভর নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয়। পরদিন সকালে পটুয়াখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম-২ ফাইজুর রহমানের আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

গত ২২ মার্চ জেলার দ্বিতীয় বিচারিক হাকিম এ এস এম তারিক শামসের আদালতেও মিজানুরের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে। তবে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে তাঁর চিকিৎসার আবেদন করা হলে জেল সুপারকে কারাবিধি অনুযায়ী সুচিকিৎসার আদেশ দেন।

২৩ মার্চ মিজানুরের বাবা আবদুস সালাম হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এ আবেদনে মিজানুরকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণের জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়। ২৪ মার্চ মিজানুরকে পুলিশি হেফাজতে অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট। নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, আদালত তা-ও জানতে চান।

স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজি, পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), বাউফল থানার ওসি, কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির প্রধান, ফাঁড়ির এএসআই হালিম খান ও শফিকুল ইসলাম-এ আটজনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে হাইকোর্টের ওই রুলে।