বর্ষবরণে নারী নিপীড়নের ঘটনায় শাস্তির দাবি সংস্কৃতিমন্ত্রীর

পয়লা বৈশাখের বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের পৈশাচিক ঘটনা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জা ও কষ্টের।’ মন্ত্রী ঘটনার সঙ্গে জড়িত লোকজনকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলার আদিবাসী নেতা-কর্মী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পী-কর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ দাবি জানান। এর আগে সকালে মন্ত্রী দিনাজপুর শহরের সুইহারী মির্জাপুর এলাকায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক একাডেমির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সমাজের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে পৃথিবীব্যাপী গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য হারিয়ে গেলে পুরো বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে। মন্ত্রী বলেন, সরকার চায় না সমাজের কোনো একটি গোষ্ঠী পিছিয়ে বা অবহেলিত থাকুক। সরকার চায় দেশের প্রতিটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নিজেদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের চর্চা ও লালন করবে।

সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, জীবনের সাফল্য কেবল জিপিএ-৫ পাওয়ার ওপর নির্ভর করে না। প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি মানুষের মনের অন্ধকার বা দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজে খুঁজে আঘাত করে। কেবল সংস্কৃতিচর্চাই পারে মনের সেই অন্ধকার দূর করতে। তাই জিপিএ-৫ পাওয়ার মানসিকতা পরিহার করে বই পড়া, কবিতা, গান, ছবি আঁকা, আবৃত্তিসহ সংস্কৃতিচর্চায় সন্তানদের উৎসাহিত করতে তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর সদর আসনের সাংসদ ইকবালুর রহিম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক গণেশ সরেন, সাধারণ সম্পাদক রুবেন মুমু‌র, নাট্যব্যক্তিত্ব শাহজাহান শাহ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুলতান কামাল উদ্দিন বাচ্চু ও জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আসফ-উদ দৌলা।