মাহীর 'স্মার্ট' ইশতেহার

মাহী বি চৌধুরী
মাহী বি চৌধুরী

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী নগরের সমস্যাকে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতিতে সমাধান করার অঙ্গীকার করে তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় রাজধানীর বনানীর লেকশোর হোটেলে তিনি এ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
মাহী বি চৌধুরী তাঁর ‘স্মার্ট’ পদ্ধতির ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এস ফর স্পেসিফিক (সুনির্দিষ্ট), এম ফর মেজারেবল (গণনাযোগ্য), এ ফর এচিবেবল (অর্জনযোগ্য), আর ফর রিয়েলিস্টিক (বাস্তবসম্মত) এবং টি ফর টাইম বাউন্ড (সময় নির্ধারিত)। অর্থাৎ, সমস্যাগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে হবে, কীভাবে সমাধান করব তা গণনাযোগ্য হতে হবে। যেমন, দুর্নীতি রোধে আমি কী কী করলাম, তা প্রথম ১০০ দিনে, এক বছরে, দুই বছরে ও পাঁচ বছরে গণনা করতে পারতে হবে। তা এমন হতে হবে, যা অর্জন করা সম্ভব, যা বাস্তবায়নযোগ্য বা বাস্তবসম্মত।’
মোট সাত পৃষ্ঠার ইশতেহারটি প্রজন্ম দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে তৈরি করেছেন বলে দাবি করেন মাহী বি চৌধুরী। এই প্রজন্মের মধ্যে সব বয়সের ও সব রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ রয়েছে বলে তিনি জানান। বিকল্পধারা দলীয়ভাবে তাঁকে মনোনয়ন দেয়নি মন্তব্য করে মাহী বলেন, ‘আমি মূলত প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকা শহরের মেয়র প্রার্থী হয়েছি। নিরাপদ ঢাকা, চলমান ঢাকা ও আলোকিত ঢাকা-এ তিনটি দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে আমি ঢাকা শহরকে গড়ে তুলব, যদি মেয়র নির্বাচিত হই।’

সিটি করপোরেশন উত্তরের অন্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের ইশতেহার ‘হোমওয়ার্ক’ না করেই তৈরি করা হয়েছে বলে মাহী অভিযোগ করেন। তিনি আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হকের উদ্দেশে বলেন, ‘তাঁর (আনিসুল হকের) ইশতেহারকে অন্তঃসারশূন্য বলায় তিনি মনে কষ্ট পেয়েছেন। এটা জেনে আমি নিজেও মনে কষ্ট পেয়েছি। তিনি রাজনীতিতে নতুন। প্রতিপক্ষের আক্রমণকে ব্যক্তিগতভাবে নেওয়ার কিছু নেই। রাজনীতিতে এলে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সহ্য করতে হবে। লুজ বল দিলে আমিতো চার-ছক্কা মারবই। কারণ, আমি রাজনীতি করি।’ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অবশ্যই একজন রাজনীতিক হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে মাহী বি চৌধুরীর বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও বিকল্পধারার অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।