'নিয়মবহির্ভূতভাবে' নিয়োগের প্রতিবাদে শিক্ষকদের মিছিল

‘নিয়মবহির্ভূতভাবে’ নিয়োগের প্রতিবাদে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌন মিছিল ও সংবাদ সমেঞ্চলন হয়েছে। বিএনপি ও ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী ‘সোনালী দল’-এর শিক্ষকেরা গতকাল বুধবার ক্যাম্পাসে ওই কর্মসূচি পালন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগের প্রতিবাদে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মৌন মিছিল করেন। পরে বেলা একটার দিকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের গ্যালারিতে সংবাদ সমেঞ্চলন করেন। সমেঞ্চলনে সোনালী দলের সভাপতি মো. ইদ্রিস মিয়ার সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাশেম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত সাড়ে চার বছরে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি ও দলীয়করণ হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি ভঙ্গ করে গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে মো. হুমায়ুন কবীর, কৃষি রসায়ন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে মোহামঞ্চদ এমদাদ আলী, অ্যাগ্রিবিজনেস ইনস্টিটিউটের প্রভাষক হিসেবে শাহরিয়ার জামিল খান, এনাটমি ও হিস্টোলজি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে মো. নাজমুল হাসান সিদ্দিকীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগে এস এম মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়োগের জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট কর্মকর্তা হিসেবে কমার্স গ্র্যাজুয়েটের পরিবর্তে দলীয় বিবেচনায় কৃষি গ্র্যাজুয়েট মো. আতিকুজ্জামান, ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক হিসেবে ক্রীড়া-সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও কৃষি গ্র্যাজুয়েট আবুল কালাম আজাদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে ওই সব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল ও ভবিষ্যতে এমন নিয়োগ না দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রফিকুল হক বলেন, ওই শিক্ষকদের প্রতিবাদ ও দাবি অযৌক্তিক। নিয়ম মেনেই সবাইকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।