সোনা লুটের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারে গত মঙ্গলবার রাতে ককটেল ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কোটি টাকার সোনা লুটের ঘটনায় ধর্মঘট পালন করছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বুধবার সকাল নয়টা থেকে দুই দিনব্যাপী এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটার দিকে বাজারে বিদ্যুৎ ছিল না। এ সময় ১৫-২০ জন মুখোশ পরা ডাকাত ককটেল ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাজারের ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক সহিংসতা ভেবে দোকানের দরজা বন্ধ করে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। এ সুযোগে সশস্ত্র ডাকাত দল বাজারের রণজিৎ বণিকের শ্রীদুর্গা জুয়েলার্সের শোকেস ভেঙে সোনার গয়না ও টাকা লুট করে। এরপর ডাকাতেরা আবার ককটেল ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে দোকানের ব্যবস্থাপক বাপ্পি ও ককটেলের আঘাতে মাছ ব্যবসায়ী এয়াকুবসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
রণজিৎ বণিক দাবি করেন, ডাকাত দল তাঁকে ও তাঁর কর্মচারীকে মারধর করে এবং ভাঙচুর চালিয়ে দুই শতাধিক ভরি সোনার গয়না ও সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
বিক্ষুব্ধ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, থানা থেকে চার-পাঁচ শ গজ দূরে উপজেলা সদরের এ বাজারে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়নি।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নরেশ বণিক জানান, হামলা চালিয়ে সোনা লুটের ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা গতকাল ও আজ বৃহস্পতিবার ধর্মঘট পালন করছেন। তাঁরা অবিলম্বে ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল মিঞা জানান, মঙ্গলবার রাতেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন আটজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটক ও মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।