বাঞ্ছারামপুরে তিতাস নদীতে অবৈধভাবে মাছ শিকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় তিতাস নদীতে ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার চলছে। মৎস্য বিভাগের লোকজনের জোগসাজশে এই নদীতে নির্বিচারে মাছ শিকার চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিতাস নদীর ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে শতাধিক স্থানে নদীর মাঝখানে বাঁশ পুঁতে ছোট ফাঁসের জাল (স্থানীয়ভাবে ভৈরব জাল হিসেবে পরিচিত) পেতে রাখা হয়েছে। এই জাল বাঁশ দিয়ে নদীর তলদেশ পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নদীর ১০০-১৫০ ফুটজুড়ে একেকটি জাল পাতা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর কিছুদূর পরপরই জাল পাতা আছে। থানার ৫০ মিটার পূর্ব দিকে একটি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৫০ মিটার পূর্ব দিকে একটি, সলিমাবাদ সেতু থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে দুটি স্থানে নদীতে জাল পাতা রয়েছে। এ ছাড়া ছলিমাবাদ ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের পাশে একটি ও আছাদনগর সেতুর পাশে একটি জাল পাতা রয়েছে।
উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের মাছ শিকারি মোমেন মিয়া বলেন, ছোট-বড় সব মাছই ভৈরব জালে ধরা পড়ে। উপজেলা সদরের শিক্ষক শাহ নাদিম হোসেন বলেন, চিকন জাল দিয়ে মাছ শিকার করায় ছোট-বড় সব মাছই এই জালে ধরা পড়ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাসেম মাছ শিকারিদের সঙ্গে যোগসাজশের কথা অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, ভৈরব জাল দিয়ে মাছ ধরা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং নিষেধ। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাচ্ছে না। তবে শিগগিরই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, ভৈরব জালের ছিদ্র এত ছোট যে এক ইঞ্চি আকারের মাছও ধরা পড়ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ টি এম কাউছার হোসেন বলেন, ‘ভৈরব জাল দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’