অপহরণের দেড় মাসেও উদ্ধার হয়নি নীলফামারীর বিশাল

অপহরণের প্রায় দেড় মাসেও উদ্ধার হয়নি আট বছরের শিশু বিশাল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও বিশালের অবস্থান নিশ্চিত করেননি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অপহূত বিশাল নীলফামারী জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই কামারপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। ফারুক হোসেন জানান, গত ১৬ আগস্ট দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাশের দোকানে টিভি দেখতে যায় বিশাল। এরপর আর তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরদিন ১৭ আগস্ট ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে বিশালকে অপহরণের দায় স্বীকার করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। সেই সূত্র ধরে নীলফামারী থানায় মামলা করা হয়েছে।
বিশালের বাবা আরও জানান, পুলিশ ২৯ আগস্ট অপহরণের সঙ্গে জড়িত নীলফামারী সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই কামারপাড়া গ্রামের নূরজ্জামান (২৭), তাঁর স্ত্রী আছিয়া আক্তার (২২) ও শ্যালক দিনাজপুরের বিরামপুর (নবাবগঞ্জ) উপজেলার দক্ষিণ সাহরাজপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে ফজলুর রহমানকে (২৪) গ্রেপ্তার করে। বিরামপুরের দক্ষিণ সাহারাজপুর গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু আক্কাস আহমেঞ্চদ বলেন, অপহরণের ঘটনায় ২৪ আগস্ট বিশালের দাদা মোখলেছ উদ্দীন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন আদালতে অপহরণে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটিকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেওয়া বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযান চলছে।