দাসপাড়ায় চলাচলের রাস্তা নেই

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মহাদেবপুর দাসপাড়ায় কোনো রাস্তা নেই। বিভিন্ন ঘরের পেছন দিয়ে মানুষ যাতায়াত করে। লাশ সৎকারের জন্য খেত-খামার দিয়ে যেতে হয় শ্মশানে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই এখানে ৪০টি পরিবার বসবাস করে। লোকসংখ্যা তিন শতাধিক। পাড়াটিতে ঢোকার কোনো কাঁচা অথবা পাকা রাস্তা নেই। মানুষজন বাসিন্দাদের ঘরের পেছন ব্যবহার করে চলাচল করে।
১০ এপ্রিল সরেজমিনে দেখা যায়, দাসপাড়ার শেষ প্রান্তে গকুল দাসের বাড়ি। তাঁর স্ত্রী মধুমালা দাসি মারা গেছেন ওই দিন সকালে। কিছুক্ষণ তাঁরা দোলায় করে মাঠের খেত-খামারের মধ্য দিয়ে কয়ারগাছি শ্মশানে নিয়ে যান মৃতদেহ।
ওই পাড়ার বাসিন্দা রঞ্জন কুমার দাস জানান, স্বাধীনতার পর পরই মহাদেবপুর দক্ষিণপাড়া থেকে এই দাসপাড়ায় এসে সন্তোষ কুমার দাস প্রথম বাড়ি করেন। এরপর আস্তে আস্তে অনেক বাড়ি হয়েছে। বর্ষার সময় জুতা হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয়। তিনি আরও বলেন, বেজপাড়া-মহাদেবপুর সড়ক থেকে মাত্র ৫০০ ফুট রাস্তা নির্মাণ হলেই তাঁদের পাড়ার মানুষগুলো চলাচল করতে পারত। এ সময় তিনিসহ আরও অনেকে অভিযোগ করেন, জনপ্রতিনিধিরা প্রতিবার ভোটের সময় ভোট নিতে রাস্তা তৈরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু রাস্তা আর তৈরি হয় না।
এ ব্যাপারে মহাদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আসাদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদে কথা হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
মহাদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আলিনুর রহমান জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
ইউএনও মানোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজ করছেন। এই রাস্তা নির্মাণেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।