হবিগঞ্জের সহোদরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও তাঁর ভাই মহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে।
তদন্ত সংস্থার ধানমন্ডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বুধবার এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান বলেন, তদন্তে মজিবুর ও মহিবুরের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও অপহরণের চারটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ২১ জন সাক্ষী রয়েছে।
তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন ও আনুষঙ্গিক নথি আজ রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপুর কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা নূর হোসেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ থেকে মজিবুর ও মহিবুরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। তদন্ত সংস্থা বলছে, মুক্তিযুদ্ধকালে নিজ এলাকায় রাজাকার বাহিনী গঠন করে এই দুই ভাই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তা করে এবং নিজেরাও অপরাধ করে।
জামালপুরের আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে: একাত্তরে জামালপুরে আলবদর বাহিনীর উদ্যোক্তা আশরাফ হোসাইনসহ আটজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-২। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। গ্রেপ্তার না হওয়া ছয়জনের বিষয়ে ৬ মের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ১৯ এপ্রিল এই আটজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ এনে অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ আটজন হলেন: আশরাফ হোসাইন, শরীফ আহম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আবদুল মান্নান, মো. আবদুল বারী, মো. হারুন, মো. আবুল হাশেম, শামসুল হক ও এস এম ইউসুফ আলী।