ফটিকছড়ি আদালতে বিচারকের পদ খালি পাঁচ মাস

ফটিকছড়ি উপজেলা জ্যেষ্ঠ সহকারী দায়রা জজ আদালতের বিচারকের পদ খালি রয়েছে প্রায় পাঁচ মাস। ফলে বিচারাধীন মামলাগুলো সম্পূর্ণ ঝুলে আছে। শুনানি না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা জ্যেষ্ঠ সহকারী দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোরশেদ আলমকে মন্ত্রণালয় পদোন্নতি দিয়ে গত বছরের ২২ নভেম্বর বদলি করে। তখন থেকে ফটিকছড়ির পদটি খালি হয়ে যায়। বর্তমানে বিচারকের অভাবে এই আদালতে ৩ হাজার ৫৩০টি দেওয়ানি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় পড়ে আছে।
ফটিকছড়ি পৌরসভার ধুরুং এলাকার বাসিন্দা মো. জাফর উদ্দিন (৩৩) জানান, গত ২০১৩ সালে একই এলাকার মো. জসিম উদ্দিন তাঁদের জায়গা-সম্পত্তির বিষয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর ছেলেরা মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য গত ১৪ নভেম্বর আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু মামলা নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। কারণ, আদালতের বিচারক নেই।
সরকার কেঁৗসুলি (এলজিপি) নসরত আলম বলেন, বিচারক না থাকায় এ আদালতের অনেক মামলার শুনানি হচ্ছে না। তা ছাড়া গ্রহণযোগ্য বিচার না পেয়ে আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন না অনেকে।
ফটিকছড়ি আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লেয়াকত আলী চৌধুরী বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা জেলা জজ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁরা দ্রুত বিচারক নিয়েগের আশ্বাসও দিয়েছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের জেলা জজ মুহাম্মদ নুরুল হুদা জানান, বিচারক দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই বিচারক নিয়োগ হতে পারে।