করিমগঞ্জে গৃহবধূর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের উলুখলা গ্রামে গতকাল শনিবার এক গৃহবধূর গায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূ পাপিয়া আক্তারকে (২০) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মিঠামইনের ঘাগড়া গ্রামের নজির মিয়ার মেয়ে পাপিয়ার সঙ্গে উলুখলা গ্রামের আনোয়ারুল হকের ছেলে আশিকুল হকের। বছর দেড়েক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। পাপিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিষয়টি সহজে মেনে নেয়নি। এ কারণে প্রায়ই দেবর, শাশুড়িসহ অন্যরা পাপিয়াকে মারধর করতেন।
নজির মিয়া বলেন, ‘আজ (গতকাল শনিবার) সকালে মেয়ের বাড়িতে পাপিয়াকে মারধরের বিষয় নিয়ে সালিস হওয়ার কথা ছিল। আমি ঘাগড়া থেকে উলুখলা গ্রামে এসে জানতে পারি পাপিয়ার শাশুড়ি পারুল আক্তার, দেবর মাশেকুল হকসহ কয়েকজন মিলে আমার মেয়ের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পাপিয়াকে আমি ও স্থানীয় ব্যক্তিরা উদ্ধার করে প্রথমে করিমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।’ কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক পারভেজ আহম্মদ জানান, আগুনে পাপিয়ার মুখ, পেট, কোমরসহ শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। পাপিয়ার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
করিমগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় পাপিয়ার দেবর মাশেকুল হককে আটক করা হয়েছে।